উচ্চমাধ্যমিক ভূগোলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
(১) উর্মিভঙ্গ কি?
উঃ- সমুদ্র তরঙ্গ ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে এলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হ্রাস পেলেও উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এই উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালে তরঙ্গ নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে কুন্ডলীর আকার নিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে ভেঙ্গে যায়। একেই উর্মিভঙ্গ বলে।
(২) সমুদ্র তরঙ্গ কি?
উঃ- বায়ু প্রবাহ কিংবা অন্য কোনো কারনে সমুদ্রের জলরাশিতে গতির সঞ্চার ঘটলে জলকনাগুলির বৃত্তাকার কক্ষপথে উল্লম্ব ভাবে আলোড়নকে সমুদ্র তরঙ্গ বলে। সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে বায়ু প্রবাহের ঘর্ষণের ফলে এই তরঙ্গের সৃষ্টি হয়।
(৩) ফেচ কি?
উঃ- উন্মুক্ত সমুদ্রে বায়ু যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে উপকূলে এসে পৌঁছায় তাকে ফেচ (Fetch) বলে। ফেচ বেশী হলে বায়ুর গতিবেগ বাড়ে ফলে সমুদ্র তরঙ্গ বৃহদাকার হয়। এই ফেচের উপর সমুদ্র তরঙ্গের উচ্চতা ও শক্তি নির্ভরশীল।
(৪) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ কি?
উঃ- সমুদ্র পৃষ্ঠভাগে যে তরঙ্গ ওপর নীচে ওঠানামা করে তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে। প্রবল বায়ুপ্রবাহের জন্য সমুদ্র জলরাশিতে গতির সঞ্চার ঘটলে এরূপ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়।
(৫) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কি?
উঃ- উপকূলের নিকট অনুপ্রস্থ তরঙ্গের বৃত্তাকার কক্ষপথ সমুদ্র বক্ষে ধাক্কা খেয়ে উপবৃত্তাকার পথে পরিবর্তিত হয় এবং তরঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে চলে। এই তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।
(৬) সোয়াশ কি?
উঃ- সমুদ্রতরঙ্গ যখন অগভীর জলে এসে পৌঁছায় তখন তরঙ্গের চূড়া ক্রমশ কুন্ডলাকারে উপরে ওঠে ও ভেঙ্গে গিয়ে জলরাশি প্রবল বেগে সৈকত ভূমিতে ধাক্কা দিয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে যায়। একে সোয়াশ বলে।
(৭) ব্যাকওয়াশ কি ?
উঃ- সোয়াশ উপকুলে আছড়ে পরার পর তটভূমির ঢাল বেয়ে পুনরায় অন্তঃতরঙ্গ রুপে সমুদ্রে ফিরে যায়। একেই ব্যাকওয়াশ বলে।
(৮) বিনাশ তরঙ্গ কি?
উঃ- সমুদ্রে প্রবল ঝড় বা তুফান উঠলে এক বৃহৎ আকারের ঝটিকা তরঙ্গের জন্ম হয় যা উপকূল্ভাগের ধ্বংস সাধন করে। একে বিনাশকারী তরঙ্গ বলে। এই ক্ষেত্রে সোয়াশের চেয়ে ব্যাকওয়াশ অধিক শক্তিশালী হয়।
(৯) গঠনকারী তরঙ্গ কি?
উঃ- যে সকল সমুদ্র তরঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী তারা উপকূলে আঘাত করে কম শক্তি নিয়ে অন্তঃস্রোত রূপে এগিয়ে চলে। ফলে নুড়ি, বালি ইত্যাদি বেশীর ভাগ সৈকতে সঞ্চয় হয়। কম গতিসম্পন্ন অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির এই রুপ তরঙ্গকে গঠনকারী তরঙ্গ বলে।
(১০) ক্ল্যাপোটিস কি?
উঃ- ইংরেজীতে 'Clap' শব্দের অর্থ করতালি। স্থলভাগে আঘাত করার পর প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গ সমুদ্রের দিকে ফিরে যাওয়ার সময় সমুদ্রের দিক থেকে আসা সম্মুখ তরঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষ ঘটলে যে স্থির দণ্ডায়মান তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তাকে ক্ল্যাপোটিস বা স্থির তরঙ্গ বলে।
(১১) সমুদ্র ভৃগু কি?
উঃ- সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে তটভূমি ও স্থলভাগের সংযোগস্থলে যে খাড়া পাড়যুক্ত ভূমিরূপ তৈরি হয় তাকে সমুদ্র ভৃগু বলে। শিলাস্তরের নতি, শিলার প্রকৃতি, শিলাস্তরের বিন্যাস, ভৃগুর মস্তক ও পাদদেশে ক্ষয় প্রভৃতির উপর সমুদ্র ভৃগুর গঠন নির্ভরশীল।উদাহরণ:- মালাবার উপকূলে (কেরলের) ভৃগু দেখা যায়।
(১২) সামুদ্রিক খিলান কি?
উঃ- সমুদ্রের দিকে অভিক্ষিপ্ত সংকীর্ণ স্থলভাগ সমুদ্র তরঙ্গের ক্রমাগত আঘাতের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ছোটো সেতু বা ব্রিজের আকৃতি ধারন করলে তাকে সামুদ্রিক খিলান বলে। এক্ষেত্রে যে সুড়ঙ্গ তৈরি হয় তার ছাদ খিলানের ন্যায় অবস্থান করে।
(১৩) স্ট্যাক কি?
উঃ- প্রবল সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে প্রাকৃতিক খিলানের ছাদ ভেঙ্গে গেলে খিলানের দুই পাশের শিলাস্তর খাড়া স্তম্ভ বা পায়ার মতন দাড়িয়ে থাকে। একেই স্ট্যাক বা সামুদ্রিক স্তম্ভ বলে। উদাহরণ - ভারতের কেরালা ও গোয়ার উপকূলে স্ট্যাক ও স্ট্যাম্প দেখা যায়।
(১৪) স্ট্যাম্প কি?
উঃ- ক্রমাগত সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে স্ট্যাক ক্ষয়ে গিয়ে জলতল পৃষ্ঠের সমান বা তার সামান্য নীচে অবস্থান করলে তাকে স্ট্যাম্প বলে। ভারতের গোয়া উপকূলে স্ট্যাম্প দেখা যায়।
(১৫) ব্লোহোল কি ?
উঃ- সমুদ্র উপকূলে গুহার গহ্বর ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হলে বহিঃপৃষ্ঠের নিকট চলে আসে এবং এক সরু, খাড়া গহ্বর তৈরি করে যা ভূ পৃষ্ঠে উন্মুক্ত হয়। এই ধরনের গর্তকে ব্লোহল এবং স্কটল্যান্ডে গ্লুপ বলে।
(১৬) তরঙ্গ কর্তিত মঞ্চ কি?
উঃ- উপকূল ভাগের উঁচু খাড়াপাড় বা ভৃগু যখন প্রবল সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে তখন ভৃগুর পাদদেশ থেকে সমুদ্রের দিকে এক-একটি মঞ্চ আকৃতির সমতল ভূমি নেমে আসে। একে তরঙ্গ কর্তিত মঞ্চ বলে।উদাহরণ:- কঙ্কন উপকূলে (মহারাষ্ট্র, গোয়া) এটি দেখা যায়।
(১৭) কোভ ও বাইট কি ?
উঃ- সমুদ্র উপকূলের কোমল শিলায় তরঙ্গের আঘাতে যে বৃত্তাকার খাঁড়ির সৃষ্টি হয় তাকে কোভ বলে। বৃহদাকার কোভকে বাইট বলে।
(১৮) হেডল্যান্ড কি ?
উঃ- উপকূলরেখার পশ্চাদপসরণের ফলে যদি অধিক মাত্রায় সমুদ্র ভৃগু ক্ষয় প্রাপ্ত হয় তখন সেই ভৃগুর থেকে একটি ক্ষয় প্রতিরোধকারী অংশ সমুদ্রে অভিক্ষিপ্ত থাকে একে হেডল্যান্ড বা অগ্রভূমি বলে।
(১৯) সামুদ্রিক বাঁধ কি?
উঃ- অনেক ক্ষেত্রে উপকূল থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রবক্ষে সমুদ্র তরঙ্গের দ্বারা বয়ে আনা ক্ষয়জাত নুড়ি, বালি প্রভৃতি উপকূল রেখার সমান্তরালে সঞ্চিত হয়ে যে সংকীর্ন ও দীর্ঘায়িত স্তূপ গড়ে ওঠে তাকে সামুদ্রিক বাঁধ বা চরবাঁধ বলে।
(২০) পুরোদেশীয় বাঁধ কি?
উঃ- সমুদ্র তরঙ্গের ক্ষয়কার্যের ফলে, অগভীর সমুদ্রে নুড়ি, বালি, কাঁকর, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে উপকূলের সমান্তরালে যে আংশিক নিমজ্জিত বাঁধ তৈরি করে তাকে পুরোদেশীয় বাঁধ বলে।
(২১) ওয়াডেন কি?
উঃ- পুরোদেশীয় বাঁধ ও স্পিটের পিছনের লবনাক্ত জলাভূমিকে নেদারল্যান্ডে ওয়াডেন (Wadden) বলে।
(২২) টম্বেলো কি?
উঃ- যখন কোনো একটি বাঁধ একটি বা দুটি দ্বীপকে উপকূলের সাথে সংযুক্ত করে তখন সেই বাঁধকে টম্বেলো বলে। এটি একধরনের চর বাঁধ। ভারতের তুতিকোরিনের কাছে হেয়ার দ্বীপটি মূল ভূখন্ডের সাথে টম্বেলো দ্বারা যুক্ত।
(২৩) স্পিট কি?
উঃ- যে বাঁধের একটি অংশ স্থলভাগের সাথে যুক্ত এবং অন্য অংশটি সমুদ্রের মধ্যে প্রসারিত তাকে স্পিট বলে। ভারতের ওড়িশার চিল্কা লেগুনের কাছে একটি স্পিট আছে।
(২৪) কাস্পেট স্পিট কি?
উঃ- দুটি সমুদ্রাভিমুখী বক্রাকার স্পিট সমুদ্রে পরস্পরের সাথে মিলিত হলে বা একটি স্পিট হুকের মতন বেঁকে পুনরায় স্থলভাগের সাথে যুক্ত হলে তাকে কাস্পেট স্পিট বলে।
(২৫) তটভূমি কি?
উঃ- উপকূল রেখা থেকে মহীসোপানের প্রান্তভাগ পর্যন্ত প্রসারিত অঞ্চলকে তটভূমি (Shore) বলে। এটি উপকূলের সামনের সমুদ্রমুখী অংশ। সমুদ্রের সঞ্চয় কার্যের ফলেই এই ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
(২৬) সৈকত/বেলাভূমি কি?
উঃ- তটভূমির উপর সমুদ্র তরঙ্গ বাহিত নানা আকারের শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে সমুদ্রের দিকে ঈষৎ ঢালু প্রায় সমতল যে ভূমি গড়ে ওঠে তাকে সৈকত/বেলাভূমি বলে।
(২৭) উপকূলীয় বালিয়াড়ি কি?
উঃ- উপকূল অঞ্চলে তীব্র গতিতে বায়ু প্রবাহের ফলে সমুদ্র সৈকতের বালি উড়ে গিয়ে স্তূপাকারে দীর্ঘ স্থান জুড়ে সঞ্চিত হলে তাকে ঊপকূলীয় বালিয়াড়ি বলে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূলে এবং ওড়িশা উপকূলে এরকম বালিয়াড়ি দেখা যায়।
(২৮) বে বার ও লুপ বার কি?
উঃ- স্পিট ক্রমশ বাড়তে বাড়তে উপসাগরের সম্মুখে যে বাঁধ গড়ে ওঠে তাকে বে বার বলে এবং দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে স্পিট বৃদ্ধি হতে হতে বেশ কিছুটা গিয়ে অর্ধগোলাকারে প্রধান ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হলে তাকে লুপ বার বলে।
(২৯) লেগুন কি?
উঃ- যখন কোনো পুরোদেশীয় বাঁধ বা স্পিট উপসাগরের সামনে সমুদ্র বাঁধ হিসাবে এমন ভাবে অবস্থান করে যে উপসাগরের মুখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তখন বাঁধের পিছনে অর্থাৎ স্থলভাগের দিকে মূল ভূখন্ড ও সমুদ্র বাঁধের অন্তর্বর্তী অংশে সমুদ্রের লবনাক্ত জল আংশিক ভাবে আবদ্ধ হয়ে যে জলাভূমি গড়ে তোলে তাকে লেগুন বলে।
(৩০) ভারতের বৃহত্তম লেগুনের নাম কি ?
উঃ- ওড়িশার চিল্কা।
(৩১) পৃথিবীর বৃহত্তম লেগুনের নাম কি?
উঃ- নিউ ক্যালিডোনিয়া লেগুন।
(৩২) প্রবাল কি?
উঃ- সমুদ্রে বসবাসকারী অতি ক্ষুদ্রাকার এক প্রাণী যা 'সিলেন টেরেটা' গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত যারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজেদের দেহের চারিপাশে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট বা চুনের একটি আবরণ গড়ে তোলে তাদের প্রবাল বলে।
(৩৩) প্রবাল বৃদ্ধির অনুকূল অবস্থাগুলি কি কি?
উঃ- সমুদ্র জলের উষ্ণতা ২২ ডিগ্রী C, জলের গভীরতা ২৫-৩০ ফ্যাদম, সমুদ্রের স্বচ্ছ জল, কম লবনতা যুক্ত সমুদ্রের জল, সামুদ্রিক মঞ্চের অবস্থান।
(৩৪) সমুদ্রের বৃষ্টি অরণ্য কি?
উঃ- অত্যধিক মাত্রায় জীব বৈচিত্র্যের প্রাচুর্যতা থাকার জন্য প্রবাল প্রাচীরকে সমুদ্রের বৃষ্টি অরণ্য বলে।
(৩৫) অ্যাটল কি?
উঃ- প্রবালপ্রাচীর গঠনের শেষ পর্যায়ে গঠিত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উঁচু বৃত্তাকার বা প্রায় বৃত্তাকার উপহ্রদ বেষ্টনকারী প্রবাল প্রাচীরকে অ্যাটল বা প্রবাল বলয় বলে।
(৩৬) পৃথিবীর বৃহত্তম অ্যাটলের নাম কি?
উঃ- এলিস দ্বীপের ফুনিফাটি অ্যাটল।
(৩৭) ফ্যারো কি?
উঃ- ক্ষুদ্রাকৃতির অ্যাটলকে ফ্যারো বলে।
(৩৮) প্রান্তদেশীয় প্রবাল প্রাচীর কি?
উঃ- প্রবালকীট জন্মানোর উপযোগী পরিবেশে সমুদ্রে মহীসোপানের খাড়া তটভূমি বরাবর সংকীর্ণ বলয়াকারে যে প্রবাল প্রাচীর গড়ে ওঠে তাকে প্রান্তদেশীয় প্রবাল প্রাচীর বলে।
(৩৯) প্রতিবন্ধক প্রবাল প্রাচীর কি?
উঃ- কোনো প্রবাল প্রাচীর প্রশস্ত অগভীর উপহ্রদ দ্বারা স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে তাকে প্রতিবন্ধক প্রবাল প্রাচীর বলে।
(৪০) পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীরের নাম কি?
উঃ- অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট বেরিয়ার রিফ।
(৪১) নিমজ্জিত উপকূল কি?
উঃ- কোনো উপকূলের অংশ বিশেষ বসে গেলে কিংবা সমুদ্রপৃষ্ঠ উত্থিত হলে জলমগ্ন যে উপকূলের সৃষ্টি হয় তাকে নিমজ্জিত উপকূল বলে। যেমন - গুজরাটের খাম্বাত উপসাগর থেকেকে ভাবনগর পর্যন্ত উপকূল।
(৪২) উত্থিত উপকূল কি?
উঃ- প্রবল ভূ-আলোড়নের জন্য যদি কোনো উপকূল বা তার বিস্তীর্ন অংশ উঠে গেলে বা সমুদ্রবক্ষ বসে গেলে তাকে উত্থিত উপকূল বলে। যেমন - ভারতের পূর্ব উপকূল।
(৪৩) রিয়া উপকূল কি?
উঃ- ফানেলের ন্যায় দেখতে যে সকল উপকূলে পর্বত, নদীগুলি উপকূলরেখার সাথে প্রায় সমকোণে মিলিত হয় তাকে রিয়া উপকূল বলে। সাধারনত প্রবল ভূ-সংক্ষোভে নদী উপত্যকা নিমজ্জিত হয়ে এই উপকূলের জন্ম হয়। যেমন - ভারতের কোঙ্কণ উপকূল।
(৪৪) ফিয়র্ড উপকূল কি?
উঃ- উচ্চ ভৃগুর মাঝে অবস্থিত দীর্ঘ, সংকীর্ণ, কোণাকৃতি বিশেষ সমুদ্রের অংশকে নিয়ে গঠিত বরফমুক্ত ও নিমজ্জিত উপত্যকাযুক্ত উপকূলকে ফিয়র্ড উপকূল বলে।
(৪৫) পৃথিবীর দীর্ঘতম ফিয়র্ডের নাম কি?
উঃ- গ্রিনল্যান্ডের স্কোরসবি সুন্ড (৩৫০ কিমি দীর্ঘ)।
(৪৬) একটি নিরপেক্ষ উপকূলের উদাহরণ দাও।
উঃ- গাঙ্গেয় বদ্বীপ উপকূল।
(৪৭) ডালমেশিয়ান উপকূল কি?
উঃ- উপকূলভূমির সাথে সমান্তরালে অবস্থিত কোনো পার্বত্য অঞ্চলের কিছুটা অংশ অবনমিত হয়ে সমুদ্র গর্ভে নিমজ্জিত হলে তাকে ডালমেশিয়ান উপকূল বলে। যেমন - অ্যাড্রিয়াটিক উপকূল।
(৪৮) যৌগিক উপকূল কি?
উঃ- একাধিক বার উত্থান ও নিমজ্জনের নিদর্শনযুক্ত উপকূলকে যৌগিক উপকূল বলে। যেমন - ভারতের মালাবার উপকূল।
(৪৯) ক্লোরাল ব্লিচিং কি?
উঃ- বিভিন্ন কারনে (যেমন - সমুদ্রের জল দূষণ, জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি, রোগের প্রাদুর্ভাব) প্রবাল কীটের রঙ ধূসর বা সাদা হয়ে গেলে এবং এর ফলে প্রবালে মৃত্যু ঘটলে তাকে ক্লোরাল ব্লিচিং বলে।
(৫০) ভারতের বৃহত্তম কয়াল বা ব্যাকওয়াটারের নাম কি?
উঃ- কেরালার ভেম্বানাদ কয়াল।
0 Comments